চট্টগ্রাম নগরের রানী রাসমনি ঘাট থেকে নৌ-পুলিশের হাতে জব্দ ৩৪০ বস্তা ইউরিয়া সারসহ জব্দ ফিশিং ট্রলার। পুলিশের দাবি, এসব সার মিয়ানমারে পাচারের চেষ্টা হচ্ছিলছবি: প্রথম আলো

মিয়ানমারে পাচারের সময় ৩৪০ বস্তা সরকারি ইউরিয়া সার জব্দ

চট্টগ্রাম থেকে মিয়ানমারে পাচারের সময় ৩৪০ বস্তা সরকারি ইউরিয়া সার জব্দ করেছে নৌ পুলিশ। গতকাল শুক্রবার একটি ফিশিং ট্রলার থেকে এসব সার জব্দ করে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরা নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে আনা হয়। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

সরকারি সার উদ্ধারের ঘটনায় গতকাল রাতেই চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। ট্রলারমালিক ও চালককে আসামি করে মামলাটি করেন কুমিরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহমান সওদাগর।

নৌ পুলিশ জানিয়েছে, চক্রটি চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থানার রাসমণিঘাট (খেজুরতলা) ট্রলারঘাট থেকে সারগুলো নিয়ে মিয়ানমারে পাচার করছে—এমন খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়।

কুমিরা নৌঘাটে দেখা যায়, ঘাটে ভেড়ানো আছে ‘এফবি আবদুর রহমান-১’ নামের ফিশিং ট্রলারটি। এর ডেকে দুটি চেম্বারে সারের বস্তাগুলো রাখা ছিল। বস্তাগুলোর ওপরে লেখা আছে, ‘কাফকো গ্র্যানুলার ইউরিয়া, মেড ইন বাংলাদেশ’। প্রতিটি বস্তার ওজন ৫০ কেজি। শ্রমিকেরা সারের বস্তাগুলো ট্রলার থেকে মাথায় করে নিয়ে কুমিরা পুলিশ ফাঁড়ির ভবনের নিচতলায় একটি কক্ষে জমা করেন।

কুমিরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) ওয়ালি উদ্দিন আকবর প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, সংশ্লিষ্ট লোকজন ও শ্রমিকদের সবাই পালিয়ে গেছেন। তাঁরা ট্রলারমালিক ও জড়িত ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে দুজনের নাম উল্লেখ করে পাহাড়তলী থানায় একটি মামলা করেছেন। গরমে সার গুদামেই গলে যাচ্ছে। ফলে আদালতের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।