নোয়াখালীতে মাঝারি তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন
মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীতে। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বিশেষ করে গরমের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া লোকজন। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আরও কয়েক দিন এ ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা তিনটায় জেলা শহর মাইজদীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আজ চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এখন চলছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। আগামী কয়েক দিন এ ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
মাঝারি তাপপ্রবাহের কারণে শহরে মানুষজনের চলাচল কমে গেছে। প্রধান সড়কে যানবাহনের সংখ্যাও অন্য দিনের তুলনায় কম। মানুষজন একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। শহরের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বেচাকেনা কমে গেছে। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা।
আজ রোববার দুপুরে শহরের মোহাম্মদীয়া এলাকায় সড়কের পাশের ফুটপাতে শিশুদের তৈরি পোশাক বিক্রি করেন বিক্রেতা জহিরুল ইসলাম। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গরম বেড়েছে। গরমের কারণে মানুষজন ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না, তাই বিক্রি খুবই কম। সংসারের খরচ মেটানোই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শহরের জামে মসজিদ মোড়ে কথা হয় কৃষ্ণরামপুর এলাকার বাসিন্দা গোলাম মোস্তফার (৭০) সঙ্গে। প্রথম আলোকে এই বৃদ্ধ বলেন, ‘গত কয়েক বছর থেকে বেশি গরম পড়ছে। এর মধ্যে গত দুই দিন মনে হচ্ছে গরম আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।’