Advertisement
  • হোম
  • বিনোদন
  • ছকভাঙা নারীপ্রধান সিনেমা দেখতে বলিউড কতটা প্রস্তুত

ছকভাঙা নারীপ্রধান সিনেমা দেখতে বলিউড কতটা প্রস্তুত

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

‘লাপাতা লেডিস’ ছবিতে নিতাংশী গোয়েলআইএমডিবি
‘লাপাতা লেডিস’ ছবিতে নিতাংশী গোয়েলআইএমডিবি

সাহাসী দৃশ্য, ভরপুর অ্যাকশন বা মনে দাগ কেটে যাওয়া কোনো কমেডি দৃশ্য—বলিউডের এমন বেশির ভাগ সিনেমাতেই পুরুষকে প্রধান চরিত্রে দেখা যায়। নারীকে প্রধান চরিত্র করে যে সিনেমা হয়নি, তা নয়; কিন্তু সেগুলো দেখতে গিয়ে মনে হয়, বলিউড বোধ হয় ছকে বাঁধা নিয়মেই চলে! ‘সিস্টার মিডনাইট’, ‘সন্তোষ’, ‘গার্লস উইল বি গার্লস’, ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’ ও ‘শ্যাডোবক্স’-এর মতো সিনেমাগুলো অবশ্যই নারীপ্রধান। এসব সিনেমার সুবাদে আন্তর্জাতিক মহলের দর্শক ভারতীয় নারীদের পরিস্থিতি দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে এই চরিত্রগুলো বলিউডের ছকে বাঁধা নায়িকাদের থেকে আলাদা। প্রশ্ন হলো, ভারতীয় দর্শকেরা এ ধরনের চরিত্র দেখতে চান কি না, কিংবা তাঁরা কতটা গ্রহণ করতে পারছেন?

২০২৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘সিস্টার মিডনাইট’ দিয়ে পরিচালক করণ কান্ধারির অভিষেক হয়। স্পাইকি কমেডি সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাধিকা আপ্তে। সিনেমায় তিনি যে নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তার নাম উমা। তো, উমা সাজানো বিয়ের শিকার হয়। এরপর বাজে সব অভিজ্ঞতার সঙ্গে লড়াই করে।

সিনেমাটি গত বছরের কান উৎসবে প্রিমিয়ার হয়, মনোনীত হয় বাফটা পুরস্কারে। সিনেমাটিতে একজন নারীর সংগ্রামকে যেভাবে রূপ দেওয়া হয়েছে, সেটা আমাদের সমাজে প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে। পরিচালক করণ কান্ধারি রাধিকা আপ্তের অভিনীত চরিত্রটির মাধ্যমে নিত্য ঘটে চলা সেসব ঘটনার যেভাবে বর্ণনা করেছেন, তা বলিউডের গতানুগতিক সিনেমার চেয়ে আলাদা।

ভারতীয় বক্স অফিসে বলিউডের দাপট বেশি। কিন্তু এই ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে ‘যৌনতাবাদী’ ও ‘পশ্চাৎমুখী’ বলেও অভিযোগ রয়েছে। ২০২৩ সালে বলিউডের হিট সিনেমায় লিঙ্গ প্রতিনিধিত্ব ও বাঁধাধরা যৌনতা-সংক্রান্ত একটি গবেষণা চালায় মুম্বাইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস (টিআইএসএস)। অবাক করার মতো ব্যাপার, সব কটিতেই নারী চরিত্রের ক্ষেত্রে একটি ‘ফর্মুলা’ খুঁজে পাওয়া গেছে।

কী সেই ফর্মুলা? অধ্যাপক লক্ষ্মী লিঙ্গম, যিনি গবেষণাটির দায়িত্বে ছিলেন, তিনি বলেন, ‘প্রধান নারী চরিত্রকে হালকা–পাতলা ও সুন্দরী হতে হবে। হতে হবে লাজুক ও সংযমী, যে কথা বলার চেয়ে অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমেই নিজের সম্মতি প্রকাশ করে। শুধু তা-ই নয়, যৌন আবেদনময় পোশাক পরতে হয় এবং বিয়ের আগের থাকা সম্পর্কের ক্ষেত্রে চরিত্রকে কিছুটা আধুনিক হতে হয়।’ এটাকে একধরনের অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
বলিউডে ভিন্ন কিছু করার প্রচেষ্টা যে খুব কমই দেখা যায়, সেটাও জানিয়েছেন অধ্যাপক লক্ষ্মী লিঙ্গম। তিনি বলেন, ‘পর্দায় নারী ও পুরুষ—উভয় চরিত্রকেই যথাযথভাবে চিত্রায়ণ জরুরি। কারণ, ভারতে পরিবার ও স্কুলগুলো যৌনতা ও সম্মতির ব্যাপারে খুব কমই শিক্ষা দেয়। আমাদের সব প্রক্রিয়াই আসলে পাঠ্যপুস্তক ও সিনেমার মাধ্যমে প্রভাবিত।’

২০২৩ সালে যেসব হিট সিনেমার ওপর গবেষণা চালানো হয়, সেই তালিকায় শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ ও ‘জওয়ান’ রয়েছে। সিনেমা দুটিতে তিনি গুপ্তচর ও প্রতিবাদী ব্যক্তির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। সে বছর হিট হয় রণবীর কাপুরের ‘অ্যানিমেল’। সিনেমাটিতে তিনি একজন অতি হিংস্র পুরুষের চরিত্রকে পর্দায় তুলে ধরেছেন। সিনেমাটি নারীবিদ্বেষ ও নারীদের বস্তুগতভাবে উপস্থাপনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়। পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার আরেক সিনেমা ‘কবির সিং’–এ–ও পুরুষ চরিত্রকে নারীর প্রতি নির্মম আচরণ করতে দেখা যায়। সিনেমাটি ২০১৯ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় করে।

গল্পে পরিবর্তন
২০১৯ সালে নারীকে নেতৃত্বে রেখে বানানো ‘মিশন মঙ্গল’ ওই বছরের সবচেয়ে সফল সিনেমাগুলোর একটি। সেখানে প্রধান চরিত্রকে একজন নারী রকেটবিজ্ঞানী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। লিঙ্গবৈষম্য দূর করার আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে দারুণ প্রশংসিত হয় করণ জোহরের ‘রকি অউর রানী কি প্রেমকাহানি’।

আমরা মুম্বাই ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সিনেমাটি প্রদর্শন করি এবং ব্যাপক সাড়া পাই। স্থানীয় দর্শকেরা সিনেমাটি যেভাবে গ্রহণ করেছেন, তা দেখে আমরা মুগ্ধ। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে, “সন্তোষ” ভারতে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে না। কারণ, সার্টিফিকেশন বোর্ড যে পরিমাণ দৃশ্য ছেঁটে ফেলতে বলেছে, তা করলে সিনেমার আসলে কিছুই থাকে না।
সন্ধ্যা সুরি

তারপরও বলিউডের সিনেমায় নায়িকাদের উপস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস–এর সিনেমা সমালোচক শুভ্রা গুপ্তা। বিবিসিকে তিনি বলেছেন, ‘এই নায়িকাদের অন্যতম নীতি হলো ধৈর্য। আপনার ভেতরে হয়তো অমিত সম্ভাবনা আছে কিংবা আপনি আপনার মনের কথা বলতে পারেন, সেটাই কিন্তু যথেষ্ট নয়। আপনাকে সৌন্দর্যের দিক থেকেও যথাযথ হতে হবে এবং অবশ্যই প্রধান চরিত্রের পুরুষের প্রতি আপনাকে আজ্ঞাবহ থাকতে হবে। এতে দেখা যায়, আপনি হয়তো মাঝেমধ্যে নিজের ঝলক দেখাতে পারছেন, কিন্তু সব সময় পিছিয়েই থাকছেন।

বলিউডের বাইরে থেকে নির্মিত নারীপ্রধান সিনেমাগুলো এ জায়গায় ভিন্নতা নিয়ে এসেছে। গল্পে পরিবর্তন এসেছে। যেমন সন্ধ্যা সুরি পরিচালিত ‘সন্তোষ’। সিনেমায় একজন দলিত নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে তুলে ধরা হয়েছে, যিনি তাঁর পুলিশ কর্মকর্তা স্বামী মারা যাওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে সহমর্মিতাস্বরূপ চাকরি পান। শাহানা গোস্বামী অভিনীত সন্তোষ চরিত্রটি বেশ রহস্যময়। তিনি বাসে একটি অল্প বয়সী মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশের দুর্নীতির ব্যাপারে খোঁজ পান। দেখেন, তাঁর বসের ভূমিকায় অভিনয় করা সুনিতা রাজওয়ার শীর্ষ পদে থাকার জন্য আপস করতে শিখেছেন।

সুরি বলেন, ‘২০১২ সালে বাসে একটি দলবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা আমাকে সিনেমাটি বানাতে অনুপ্রাণিত করেছে। ওই সময় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল ভারতজুড়ে। তখন নারী বিক্ষোভকারীদের সামলানোর দায়িত্বে থাকা একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তার ছবি দেখেছিলাম। ছবিটি দেখে তাঁকে আমার বেশ রহস্যময় লেগেছে। কারণ, তাঁর অবস্থান দুই দিকেই। একজন নারী হিসেবে ধর্ষণ ও হত্যার বিচারের দাবিকে তিনি হটাতে পারেন না, আবার পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে এটা তাঁকে করতেই হবে।’
‘সন্তোষ’ হিন্দি ভাষায় নির্মিত হলেও যুক্তরাজ্য থেকে অস্কারের জন্য পাঠানো হয়। ‘সিস্টার মিডনাইট’ ও ‘সন্তোষ’ হিন্দিতে তৈরি হলেও সিনেমা দুটির নির্মাতারা ব্রিটিশ ভারতীয়। ‘সিস্টার মিডনাইট’ ভারতে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে পরিচালক আশাবাদ ব্যক্ত করলেও সুরি তাঁর ‘সন্তোষ’ যে ভারতে মুক্তি দিতে পারবেন না, বিবিসিকে সে কথা জানিয়েছেন।

কেন মুক্তি দিতে পারবেন না, সে কথাও জানিয়েছেন সুরি, ‘আমরা মুম্বাই ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সিনেমাটি প্রদর্শন করি এবং ব্যাপক সাড়া পাই। স্থানীয় দর্শকেরা সিনেমাটি যেভাবে গ্রহণ করেছেন, তা দেখে আমরা মুগ্ধ। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে, “সন্তোষ” ভারতে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে না। কারণ, সার্টিফিকেশন বোর্ড যে পরিমাণ দৃশ্য ছেঁটে ফেলতে বলেছে, তা করলে সিনেমার আসলে কিছুই থাকে না।’

সেন্সরশিপ
ভারতীয় সেন্সরশিপ নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে। ২০১৭ সালে অলংকৃতা শ্রীবাস্তবের পরিচালনায় ‘লিপস্টিক: আন্ডার মাই বোরকা’ সিনেমাটি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ভারতের সেন্সর বোর্ড যৌনতার অভিযোগ তুলে নিষেধাজ্ঞা দেয়। পরে অবশ্য সমালোচনার মুখে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। কিন্তু অধিকাংশ ব্লকবাস্টার বলিউড সিনেমা লিঙ্গ ও যৌনতার ব্যাপারটি সামনে এলেই নিজস্ব সেন্সরশিপ দাঁড় করায়।
২০২১ সালের হিট ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ সিনেমায় নায়ক (আল্লু অর্জুন) নায়িকার বুক স্পর্শ করার অভিযোগে দর্শকের সমালোচনার মুখে পড়েন। পরে সেই দৃশ্য কেটে বাদ দিতে হয়। সিনেমা সমালোচক শুভ্রা গুপ্তা জানান, ২০২৪ সালে এসে ‘পুষ্পা: দ্য রুল’ সিনেমায় শ্রীবল্লী (রাশমিকা মান্দানা) মিলনের যে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন, সেটাও দর্শক খুব ভালোভাবে নেননি।

এদিক থেকে বেশ সাহসী বলা যায় পায়েল কাপাডিয়ার ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’কে। এর গল্প প্রভা ও অনু নামের দুই নার্সকে ঘিরে। ভারতের অন্য শহর থেকে কাজের সূত্রে মুম্বাইয়ে আসার পর তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এই বন্ধুত্বের গল্প নিয়েই এগিয়েছে সিনেমাটি। এই সিনেমা দিয়েই ৩০ বছর পর কানে বড় কোনো পুরস্কার জেতে ভারত। তারপরও ভারতে সীমিত প্রদর্শনীর অনুমতি জোটে সিনেমাটির কপালে। এমনকি অস্কারের জন্যও নির্বাচন করা হয়নি। নির্বাচকেরা এটিকে ভারতীয় মোড়কে ইউরোপের সিনেমা বলে অভিহিত করেন।

২০২৪ সালে নারীর যৌনতাকে তুলে ধরা ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’ই একমাত্র সিনেমা ছিল না। সূচি তালাতি পরিচালিত ইংলিশ-হিন্দি সিনেমা ‘গার্লস উইল বি গার্লস’ সিনেমাটিও সেই পথে হেঁটেছে। এটি সানড্যান্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড জেতে। সিনেমাটির গল্প হিমালয়ের কোলে অবস্থিত একটি আবাসিক স্কুলে পড়া মিরাকে নিয়ে। সেখানে এক নতুন শিক্ষার্থীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় মিরার মা। সিনেমাটি ভারতে মুক্তি পায়নি।
সামাজিক বিধিনিষেধের বাইরে গিয়ে বানানো সিনেমাগুলো এর আগেও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেছে। যেমন ‘মনসুন ওয়েডিং’ (২০০১), ‘লিপস্টিক: আন্ডার মাই বোরকা’ (২০১৭) ও ‘মার্গারিটা উইথ আ স্ট্র’ (২০১৪)। কিন্তু এসব সিনেমাকেও সেন্সর ছাড়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়েছে।

পায়েল কাপাডিয়া বলেন, ‘আমরা যেসব সিনেমার কথা বলছি, সব কটি ভারতীয় স্বাধীন ধারার সিনেমার অংশ। সিনেমাগুলোতে ব্যতিক্রমী সব ঘটনা ঘটে এবং বিশ্ব চলচ্চিত্রে আমরা এমনটাই দেখতে পাই। ভারতীয় দর্শক যদি উমা কিংবা সন্তোষ চরিত্র দেখতে পারতেন, তাহলে তাঁদের নিজেদের প্রতি “অবিশ্বাস” তৈরি হতো। কারণ, এসব চরিত্র এতটাই অপ্রচলিত। এসব ছবি হয়তো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে ভালো ব্যবসা করবে কিংবা বিচক্ষণ দর্শকের বাহবা কুড়াবে; কিন্তু একজন বিচক্ষণ দর্শক কখনোই বলিউডের বিশাল দর্শকের সমান নন।’

প্রচলিত ছক ভেঙে দেওয়া
এত কিছুর পরও নির্মাতাদের প্রচলিত ছকের বাইরে গিয়ে সিনেমা নির্মাণ করতে হবে। যেমনটা করেছেন তনুশ্রী দাস ও সৌম্যনন্দা সাহি। তাঁরা বাংলা ভাষায় নির্মাণ করেছেন ‘শ্যাডোবক্স’। সিনেমাটির গল্প সেই সব শিরোনামহীন প্রেমের গল্পগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে, যেগুলো আমাদের চোখে পড়ে না, আগ্রহ জন্মায় না। বিশেষভাবে দেখলে স্পষ্ট হয় সমাজ ও মনের নানা দিক।
করোনা মহামারির সময় বিভিন্ন স্ট্রিমিং আর ওটিটি প্ল্যাটফর্মের উত্থান ঘটেছে। নারীপ্রধান আর সাহসী সব সিনেমাকে বিশ্বব্যাপী দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এসব প্ল্যাটফর্ম দারুণ ভূমিকা রাখছে। ২০২১ সালে জিও বেবি পরিচালিত ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কিচেন’ ওটিটিতে মুক্তি পাওয়ার পর হিট হয়। এটিও একজন সাধারণ গৃহবধূর প্রচলিত প্রথার বাইরে চলার গল্প বলে।

ভারত থেকে চলতি বছর অস্কারের জন্য মনোনয়ন পাওয়া ‘লাপাতা লেডিস’ নেটফ্লিক্সে মুক্তি পায়। যেখানে দর্শক দেখতে পান ট্রেনে চড়ার সময় হারিয়ে যাওয়া দুই তরুণী বধূর গল্প। অন্যদিকে ২০২০ সালে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পায় ‘গুঞ্জন সাক্সেনা: দ্য কারগিল গার্ল’ সিনেমাটি। এই সিনেমায় ভারতের প্রথম নারী ফাইটার পাইলটের গল্প তুলে ধরা হয়।
তনুশ্রী দাস বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা যখন শ্রমিকশ্রেণির সুবিধাবঞ্চিত নারীর কথা বলি, তখন প্রায়ই “প্রান্তিক” শব্দটা চলে আসে। কিন্তু আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠীর একটি বিশাল অংশকে প্রতিনিধিত্ব করেন এই “প্রান্তিক” নারীরা। তাঁদের গল্প কোথায়? এখনই সময় এসেছে প্রচলিত ছক ভেঙে দেওয়ার। নারীদের গল্প সিনেমায় আরও বেশি করে বলা দরকার। আমার মনে হয়, সিনেমার প্রযোজক ও পরিবেশকদের ভারতীয় নারী দর্শকদের বিরাট অংশের ব্যাপারটি উপলব্ধি করা উচিত।’

এত কিছুর পরও নির্মাতাদের প্রচলিত ছকের বাইরে গিয়ে সিনেমা নির্মাণ করতে হবে। যেমনটা করেছেন তনুশ্রী দাস ও সৌম্যনন্দা সাহি। তাঁরা বাংলা ভাষায় নির্মাণ করেছেন ‘শ্যাডোবক্স’। সিনেমাটির গল্প সেই সব শিরোনামহীন প্রেমের গল্পগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে, যেগুলো আমাদের চোখে পড়ে না, আগ্রহ জন্মায় না। বিশেষভাবে দেখলে স্পষ্ট হয় সমাজ ও মনের নানা দিক।
করোনা মহামারির সময় বিভিন্ন স্ট্রিমিং আর ওটিটি প্ল্যাটফর্মের উত্থান ঘটেছে। নারীপ্রধান আর সাহসী সব সিনেমাকে বিশ্বব্যাপী দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এসব প্ল্যাটফর্ম দারুণ ভূমিকা রাখছে। ২০২১ সালে জিও বেবি পরিচালিত ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কিচেন’ ওটিটিতে মুক্তি পাওয়ার পর হিট হয়। এটিও একজন সাধারণ গৃহবধূর প্রচলিত প্রথার বাইরে চলার গল্প বলে।

ভারত থেকে চলতি বছর অস্কারের জন্য মনোনয়ন পাওয়া ‘লাপাতা লেডিস’ নেটফ্লিক্সে মুক্তি পায়। যেখানে দর্শক দেখতে পান ট্রেনে চড়ার সময় হারিয়ে যাওয়া দুই তরুণী বধূর গল্প। অন্যদিকে ২০২০ সালে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পায় ‘গুঞ্জন সাক্সেনা: দ্য কারগিল গার্ল’ সিনেমাটি। এই সিনেমায় ভারতের প্রথম নারী ফাইটার পাইলটের গল্প তুলে ধরা হয়।
তনুশ্রী দাস বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা যখন শ্রমিকশ্রেণির সুবিধাবঞ্চিত নারীর কথা বলি, তখন প্রায়ই “প্রান্তিক” শব্দটা চলে আসে। কিন্তু আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠীর একটি বিশাল অংশকে প্রতিনিধিত্ব করেন এই “প্রান্তিক” নারীরা। তাঁদের গল্প কোথায়? এখনই সময় এসেছে প্রচলিত ছক ভেঙে দেওয়ার। নারীদের গল্প সিনেমায় আরও বেশি করে বলা দরকার। আমার মনে হয়, সিনেমার প্রযোজক ও পরিবেশকদের ভারতীয় নারী দর্শকদের বিরাট অংশের ব্যাপারটি উপলব্ধি করা উচিত।’

Lading . . .