Advertisement

গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে জাবিতে ‘গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন’-এর কমিটি গঠন

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর, ২০২৪

24obnd

জাবি প্রতিনিধি 
'জুলাই অভ্যুত্থান'- ও এর চেতনাকে রক্ষা ও প্রতিষ্ঠার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি)  শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে গঠন করা হয়েছে 'গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন' নামে নতুন একটি প্লাটফর্ম। 

সোমবার ( ২১ অক্টোবর) বিকেল চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) কমনরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। একইসাথে নতুন এই সংগঠনকে সংগঠিত করতে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ জিতুকে আহ্বায়ক করে গঠিত আহ্বায়ক কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন সদস্য সচিব ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাহমিদা ফাইজা, মুখপাত্র ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমরান শাহরিয়ার এবং যুগ্ম আহ্বায়ক ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রুদ্র মোহাম্মদ সফিউল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির মুখপাত্র ইমরান শাহরিয়ার। তিনি বলেন বলেন, গণ অভ্যুত্থানের অন্যতম দুর্গ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। অভ্যুত্থানের পর এ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা যে পরিবর্তন দেখতে চেয়েছিল তা হচ্ছেনা। যে সকল দাবি ও সংস্কার গুলোতে শিক্ষার্থীদের ঐক্যমত্য তৈরি হয়েছে, সেগুলোতেও প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়েও ফ্যাসিবাদ উৎখাত ও গণঅভ্যুত্থানের চেতনা প্রতিষ্ঠা করার কাজে গাফলিত পরিলক্ষিত হচ্ছে।


তিনি আরও বলেন, রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ৫-ই আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পুরো জাতির বুকে জাগ্রত হয়েছিল একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন, যে নতুন বাংলাদেশে কোন ফ্যাসিবাদী শক্তি থাকবে না, যে বাংলাদেশে বৈষম্য ও নিপীড়ন থাকবে না, যে বাংলাদেশে ন্যায় বিচারের নিশ্চয়তা থাকবে, যে বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা থাকবে এবং যে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হবে নিরাপদ ও উচ্চ শিক্ষার জন্য যথোপযুক্ত। এ স্বপ্নকে সামনে রেখেই আপামর জনতা নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন দেয়। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, যে চেতনাকে লালন করে মানুষ এ সরকারকে সমর্থন দিয়েছিল, সে চেতনা এ সরকার লালন করতে পারছেনা।


বর্তমান সরকারের নিজেরও সদিচ্ছার অভাব ও গাফলতি এ সংকটটিকে আরো বৃদ্ধি করেছে বলে দাবি করে "গণ অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন" এর সদস্যরা  বলেন,  এ সংকট সরকারের আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উভয় অংশীজন কর্তৃক সৃষ্ট। সরকারের অভ্যন্তরে ফ্যাসিবাদে দোসর ও সরকারের বাইরে ফ্যাসিবাদপন্থী শক্তি সরকারকে এই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে সমুন্নত করতে বাধা প্রদান করছে। ফ্যাসিবাদী শক্তি পুনর্বাসিত হচ্ছে, নতুন বাংলাদেশে জন-মানুষের জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে, যে সংস্কারগুলো আমরা আশা করছিলাম সেসব সাংবিধানিক-প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারগুলোতে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দিচ্ছে, এমনকি রক্তার্জিত এই গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন শেষে আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করব একই সাথে তার লাগামও টেনে ধরব। আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনে আবার রক্ত ঝরাবো এবং এ পরিবর্তনের বাধাদানকারী সকল শক্তিকে প্রতিহত করব।

Lading . . .