Advertisement

বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বিএনপির সাইনবোর্ড

প্রকাশ: ২৪ মে, ২০২৫

নাটোরের বড়াইগ্রামের ধানাইদহ বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সম্প্রতি ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছেছবি: প্রথম আলো
নাটোরের বড়াইগ্রামের ধানাইদহ বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সম্প্রতি ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছেছবি: প্রথম আলো

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ধানাইদহ বাজারে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বিএনপির সাইনবোর্ড ঝোলানো হয়েছে। সম্প্রতি কার্যালয়ের সামনে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ৪ নম্বর নগর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়’ লেখা সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে নগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাজদার রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এই কার্যালয়ের জায়গার মালিক ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আসাব সরকার। আওয়ামী লীগের নেতা নিলুফার ইয়াসমিন ঘরটি দখল করে তাঁদের দলীয় কার্যালয় বানিয়েছিলেন। গত ৫ আগস্ট বিক্ষুব্ধ লোকজন এটি পুড়িয়ে দেন। পরে এটা মেরামত করে বিএনপির দলীয় কার্যালয় করা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত সরকারের সময় বাজারের একটি ঘরে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন কার্যালয় স্থাপন করেন। কার্যালয়টিতে স্থানীয় ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা এসে বসতেন এবং রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। একই সঙ্গে ঘরটি নাটোর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল কুদ্দুসের ছেলের নামে শহীদ কল্লোল স্মৃতি সংঘের সাইনবোর্ডও ছিল। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিক্ষুব্ধ লোকজন কার্যালয়টি পুড়িয়ে দেন। তবে ঘরের ইটের অবকাঠামো বহাল ছিল। সম্প্রতি সেখানেই স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ৪ নম্বর নগর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় লেখা সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন সময় খারাপ। তাই আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বিএনপির সাইনবোর্ড ঝোলানো নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই।’

উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল কাদের মিয়া বলেন, সাইনবোর্ড ঝোলানোর বিষয়টি তাঁর জানা নেই।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Lading . . .