ফরিদপুরে ইজিবাইকচালককে হত্যার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর, ২০২৪

ফরিদপুরে একজন ইজিবাইকচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানা–পুলিশ।
আজ শুক্রবার বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে প্রেস ব্রিফিং করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলন চাকমা এ তথ্য দেন। তিনি জানান, ইজিবাইক ছিনতাই করতে শ্বাসরোধে চালককে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার তিনজন অংশ নেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ফরিদপুর শহরের চারকমলাপুর মহল্লার বাসিন্দা মো. সোহেল মৃধা (৩৫), উত্তর আলিপুর মহল্লার বাসিন্দা সাগর হোসেন (২৮) ও চান্দু শেখ (২২)। নিহত ইজিবাইকচালকের নাম মোশারফ হোসেন (৩৩)। তিনি ফরিদপুর পৌরসভার উত্তর শোভারামপুর মহল্লার বাসিন্দা মৃত সাদিক ব্যাপারীর ছেলে।
শৈলন চাকমা বলেন, গত বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে জনতা ব্যাংকের মোড় থেকে সোহেল মৃধা ও সাগর হোসেন ফরিদপুর সদরের কানাইপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে মোশারফের ইজিবাইকটি ভাড়া করেন। কানাইপুরের ঝাউখুল এলাকা থেকে তাঁরা অপর সঙ্গী চান্দু শেখকে তুলে নেন। কোষাগর বাজারে এলাকায় একটি নির্জন স্থানে গিয়ে চালককে শ্বাসরোধে হত্যা করে ইজিবাইকটি নিয়ে চলে যান।
গ্রেপ্তার ও লাশ উদ্ধারের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফরিদপুর সদরের তেঁতুলতলা এলাকায় একটি ইজিবাইক দেখে টহলরত পুলিশ। এ সময় ওই ইজিবাইকে চালকসহ দুজন ছিলেন। পুলিশ তাঁদের আটক করে প্রশ্ন করলে তাঁরা এলোমেলো উত্তর দেন। পুলিশ ইজিবাইকসহ তাঁদের কোতোয়ালি থানায় নিয়ে আসে। পরে নিহত ইজিবাইকচালক মোশারফের স্ত্রী সুমাইয়া বেগম কোতোয়ালি থানা এসে গাড়িটি তাঁর স্বামীর বলে শনাক্ত করেন। ওই সময় সোহেল মৃধা ও চান্দুকে আটক করে তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাতে মোশারফের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আজ সকাল আটটার দিকে আলিপুর এলাকা থেকে অপর আসামি সাগর হোসেনকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, সোহেল মৃধার নামে একই ধরনের তিনটি হত্যাসহ সাতটি মামলা রয়েছে। অপর দিকে চান্দুর নামে একটি হত্যাসহ চারটি মামলা ও সাগরের নামে চুরি, অপহরণ, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসাসহ ছয়টি মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় আজ দুপুরে নিহত মোশারফের স্ত্রী সুমাইয়া বেগম বাদী হয়ে ওই তিনজনকে আসামি করে ছিনতাই ও হত্যার অভিযোগে একটি মামলা করেছেন বলে জানা গেছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদউজ্জামান জানান, আসামিদের সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।