Advertisement

রাজশাহীতে যুবলীগ কর্মীকে রিকশায় তুলে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর, ২০২৪

24obnd

রাজশাহীতে এক যুবলীগ কর্মীকে রিকশায় তুলে নিয়ে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। নিহত যুবকের নাম মো. মীম (২৫)। রাজশাহী মহানগরের রামচন্দ্রপুর এলাকায় তাঁর বাড়ি। বাবার নাম আবদুল মোমিন। গতকাল শনিবার রাত ১০টা ১৯ মিনিটে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের দুই নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ছয় মিনিট পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর দুই হাতে গুলি চালানো যুবলীগ কর্মী জহিরুল হক রুবেলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন মীম। তিনি মহানগর যুবলীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক রাজিব মতিনের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে থাকতেন। আওয়ামী সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে ছিলেন। গতকালই তিনি এলাকায় ফেরেন। এরপরই হামলার শিকার হন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের বরাতে জানা যায়, গতকাল রাতে নগরের সাগরপাড়া এলাকায় একদল যুবক যুবলীগ কর্মী মীমকে ধাওয়া দেন। সাগরপাড়া এলাকায় তাঁকে ধরে মারধর করা শুরু করেন তাঁরা। এ সময় স্থানীয় লোকজনের বাধার কারণে ওই যুবকেরা একটি অটোরিকশায় তুলে মীমকে নিয়ে যান। পরেই নগরীর পঞ্চবটি এলাকা থেকে তাঁকে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

তবে কে বা কারা মীমকে হাসপাতালে নিয়ে যান, এ বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত নয়। সাগরপাড়া এলাকার একটি গলির মুখে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, ৮ থেকে ১০ জন যুবক মীমকে ধাওয়া দিচ্ছেন। তবে যুবকদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তাজমুল ইসলাম জানান, মীম আওয়ামী লীগ করতেন বলে জানা গেছে। তাঁর লাশ রামেক হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ নিয়ে থানায় হত্যা মামলা করবে পরিবার।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী মাসুদ জানান, নিহত যুবকের মা পুলিশকে জানান, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মীমের বন্ধুরাই জড়িত। তবে কে বা কারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত পুলিশ, তা নিশ্চিত নয়। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Lading . . .